মর্নিং সিকনেসে ভুগছেন? হবু মায়েদের জন্য কার্যকর টিপস
গর্ভাবস্থার শুরুতেই হঠাৎ করে শরীর খারাপ লাগা, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, খাবারে অরুচি—এসব সমস্যায় কি ভুগছেন? তাহলে আপনি একা নন। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে এ রকম সমস্যা দেখা দেওয়াটাই স্বাভাবিক। একে বলা হয় মর্নিং সিকনেস, যা বেশিরভাগ হবু মা-দের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
🤔 মর্নিং সিকনেস কেন হয়?
মর্নিং সিকনেস মূলত গর্ভাবস্থার শুরুতে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ঘটে। বিশেষ করে এইচসিজি (hCG) হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে এমন অনুভূতির সৃষ্টি হয়। এটি সাধারণত গর্ভাবস্থার ৬ থেকে ১৪ সপ্তাহের মধ্যে হয়ে থাকে এবং পরে ধীরে ধীরে কমে যায়।
✅ মর্নিং সিকনেস কমাতে করণীয়
🛏️ ঘুম থেকে উঠেই কিছু খান
- সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসেই কিছু শুকনো খাবার যেমন—বিস্কুট, মুড়ি, টোস্ট খেতে পারেন।
- এতে বমি বমি ভাব কমে যায় এবং পাকস্থলী ফাঁকা থাকলে যা হয়, সেই অস্বস্তি দূর হয়।
🍽️ খাবার অভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনুন
- একসাথে বেশি খাওয়ার বদলে দিনে ৪-৫ বার অল্প অল্প করে খান।
- পর্যাপ্ত পানি এবং তরল খাবার গ্রহণ করুন—যেমন: স্যুপ, ডাবের পানি, ওরস্যালাইন।
- তেল-মসলাযুক্ত ও বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন।
🧘 বিশ্রাম নিন ও মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকুন
- শরীর খারাপ লাগলে বিশ্রাম নিন, জোর করে কাজ করবেন না।
- মা হওয়ার অনুভূতিটা উপভোগ করুন—এই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তা বমির প্রবণতা বাড়াতে পারে।

⚠️ কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
❗নিচের যেকোনো লক্ষণ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:
- দিনে ৪-৫ বারের বেশি বমি হলে।
- খাবার খেলেই বমি হলে।
- কিছু খেলেই গন্ধ লাগা বা অরুচি বাড়লে।
- শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে বা রক্তচাপ কমে গেলে।
💊 ওষুধ সেবন কি নিরাপদ?
হ্যাঁ, চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু নিরাপদ ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
✨ বিশেষ পরামর্শ
“গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে কিছুটা অস্বস্তি স্বাভাবিক। ধৈর্য ধরুন, এটি অতিক্রমযোগ্য। আপনার ভেতরে একটি নতুন জীবন বেড়ে উঠছে—এটা ভাবলেই আপনি শক্তি পাবেন!” 🧡
📚 সূত্র ও সতর্কতা:
এই লেখাটি আন্তর্জাতিক মেডিকেল ওয়েবসাইট ও গবেষণা জার্নাল বিশ্লেষণ করে প্রস্তুত করা হয়েছে।
এর উদ্দেশ্য শুধুমাত্র জ্ঞানভিত্তিক তথ্য দেওয়া—এটি চিকিৎসা পরামর্শ নয়।
যেকোনো অসুবিধায় অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।